আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং ঘটনাপ্রবাহ দেখে অনেকেই মনে করি যে, মধ্যপ্রাচ্যের বিষফোড়া খ্যাত ইস্রেল একদম গ্রেটার ইস্রেল হয়ে যাবে এবং পার্শ্ববর্তী দেশগুলি দখল করে নিজেদের সাইজ আরও বৃহৎ করবে তারপর দুনিয়া শাসন করবে । কিন্তু আপনার এটা মনে রাখা উচিত যে, আল্লাহ যাকে ধ্বংস করে দেয় সে নিজেকে ছাড়িয়ে যেতে পারে না । কুরআনের আয়াত দ্বারা জানা যাক-
"এটি কখনো সম্ভব নয়, 'যে জাতিকে আমি একবার ধ্বংস করে দিয়েছি, তারা আবার (ধ্বংস পূর্ব অবস্থায় ফিরে) আসবে"
(সূরা আম্বিয়া, আয়াত নং - ৯৫)
এই আয়াত থেকে প্রমাণিত হয়, ইস্রেল কখনো তাদের কল্পিত রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে পারবে না। ভবিষ্যতে ইস্রেল কোন ভাবেই সুপার পাওয়ার হবে না, এটা একেবারেই নিশ্চিত করে বলা যায়।
আমরা ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ নিয়ে মন্তব্য করা সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিসিঞ্জারকে চিনি । আম্রিকায় তাকে বেশ ধার্মিক হিসাবেই চিনে থাকে তাদের লোকেরা । সে বাইবেল সম্পর্কে বেশ ধারণা রাখে । যেখানে ইস্রেলের ধ্বংস হয়ে যাওয়া নিয়ে কিছু ভবিষ্যৎবানী রয়েছে যা সে ১৯৭২ সালে একবার বলেছিলো । যা সিআইএ নথি থেকে উদ্ধার হয় ২০১২ সালে এবং তৎকালীন সময়ে ইস্রেলের অনেক পত্রিকা ফলাও করে এটা নিউজ করে এবং তামাশাও করে তাকে নিয়ে । তবে ২০২২ সালের পর ইস্রেল থাকবে না এটা নিয়ে অনেক স্কলাররা মন্তব্য করেছেন যারা কুরআনের গাণিতিক ব্যাখ্যা করে গবেষণা করেন । তাদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হচ্ছেন 'বাসাম জারার' যিনি ইউটিউবে প্রাপ্ত একটা ভিডিওতে একদম ক্যালকুলেট করে ব্যাখ্যা করে দেখিয়েছেন ২০২২ এর ওরা থাকবে না । শুধু তিনি নয়, আরও অনেকেই এটা বলেছেন ।
আপনারা গুগল সার্চ করলে এই সম্পর্কে আরও ধারণা নিতে পারবেন । https://www.youtube.com/watch?v=fzT5vxdLsAA
এবার কথা হচ্ছে, ইস্রেল কিভাবে হারিয়ে যাবে ? সেজন্য অবশ্যই ইস্যু দরকার । জি, ইস্যু তৈরি হচ্ছে । তারাই এটা তৈরি করে ফেলেছে । ইরানকে পরমানু ইস্যুতে ঠেকানোর জন্য ২০২২ সালের এপ্রিল পর্যন্ত আম্রিকার চাপে চুপ থাকার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে ইস্রেল । এরপর একদিনও তারা চুপ করে না থাকার আগাম ঘোষণা দিয়ে রেখেছে । গত কয়েকদিনের পত্রিকা পড়লেই এটা জানতে পারবেন । অন্যদিকে এটাও স্বাভাবিক যে, ইরান তাদের কার্যক্রম বন্ধ করবে না এবং ইস্রেল ওদের সবগুলি পরমানু স্থাপনায় একযোগে হামলা করতে পারে । তবে এর বিপরীতে যা হবে সেটা হচ্ছে ইরানের কয়েক হাজার ব্যালি/স্টিক মিসাইল ওদের উপর আছড়ে পরবে যা ঠেকানোর ক্ষমতা ইস্রেলের নেই । কারণ কোনভাবেই যদি ইরান আক্রান্ত হয় তাহলে হিজবুল্লাহ সরাসরি মিসাইল হামলা করবে । এছাড়াও আরও অনেক গোষ্ঠী রয়েছে যারা ইরানের সাহায্যে চলছে । এরা সবাই ইরানের সাথে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ।
আপনারা ২০২০ সালে আম্রিকার আক্রমণে কুদস কমান্ডার কাসেম সলায়মানি শহীদ হওয়ার ঘটনা জানেন । এটাও জানেন, ইরান ইরাকের আম্রিকান ঘাটতে কয়েকশত মিসাইল ছুঁড়েছিল পাল্টা জবাব হিসাবে । যা বুঝিয়ে দেয় যে, ইরান ছেড়ে কথা বলবে না যদি তাদের অস্তিত্ব ধরে কেউ টান দেয়ার দুঃসাহস করে ।
বিশ্ব রাজনীতি যেদিকে এগিয়ে যাচ্ছে তাতে ২০২২ সালে অনেককিছু ঘটবে যা ইতিমধ্যে কয়েক বছর ধরে ভবিষ্যৎবানী থেকে আন্দাজ করা যায় । তবে শেষ পর্যন্ত আল্লাহ ভালো জানেন কি হবে !