Friday, January 21, 2022

দাজ্জালকে কি কারণে মানুষ খোদা বলে গ্রহণ করে নিবে ? ইলুমিনাতি ও দাজ্জালের চোখ

 শেষ জামানায় দাজ্জাল এলে অল্প কিছু মানুষ ছাড়া বেশিরভাগ মানুষ তার ফিতনায় পড়ে ঈমান হারিয়ে ফেলবে । 


এমনটা মসজিদ ও আলেমদের থেকে শুনেছি । 


   দাজ্জাল আসবে এবং নিজেকে খোদা দাবি করবে আমরা সবাই জানি । তার কথা শুনে প্রভাবিত হওয়ার জন্য বিশাল একটা প্লটও তৈরি করা হবে । ২ বছর বৃষ্টিপাত, খরা, ইত্যাদি মিলিয়ে দুনিয়ার অবস্থা খুবই শোচয়নীয় হবে এটাও আমরা জানি । 

কখনো কি ভেবেছেন, এত এত সমস্যায় পড়লেই একজন এসে সব সমস্যা দূর করে দিয়ে নিজেকে খোদা দাবি করবে এবং মানুষ সহজেই তাকে মেনে নিবে । এত সহজ ব্যাপারটা ? 

illuminati sign


ফেরাউনের সময় বনী ইসরাইলের ১২ টা গোত্রকে আল্লাহ ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করেন । আল্লাহ যখন একটা অত্যাচারী ও ঘাড়ত্যারা জাতিকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করেছিলেন তার মানে আল্লাহ তাদের দ্বারা বিশাল পরিকল্পনা করে রেখেছেন । হিটলার ৬০ লাখ ইহুদি হত্যা করলো কিন্তু ১০ হাজার বা ১০ লাখকে ছেড়ে দিলো, এটাও আল্লাহর ইচ্ছা । 


মনে রাখবেন এই দুনিয়াতে সবচেয়ে বুদ্ধিমান ও ধুরন্ধুর জাতি হচ্ছে ইহুদি । দাজ্জাল যখন আসবে তখন তার সাথে ৭০ হাজার ইহুদি যোগ দিবে । তারা দুনিয়াকে নেতৃত্ব দেয়ার আশায় বসে রয়েছে । 


ইলুমিনাতি হল ইহুদিদের একটা চক্র যারা দাজ্জালের আগমনের জন্য সবকিছু প্রস্তুত করে দিচ্ছে । খেয়াল করবেন, ইলুমিনাতির লোগো হল এক চোখ ওয়ালা একটা চিহ্ন । আমরা জানি দাজ্জালের এক চোখ থাকবে । আপনারা হয়ত খেয়াল করেছেন, বিভিন্ন গেমিং প্লাটফর্ম, ওয়েবসাইট, সিক্রেট পেপারস, দেয়াল বিভিন্ন জায়গায় এই দাজ্জালের চোখ দেখা যায় । সবচেয়ে ভালো দেখতে পারবেন ওয়েবমানি ওয়ালেটে । তাদের লোগোর ভেতর ইলুমিনাতির চোখ রয়েছে । 

দশ বছর আগেও এই ইলুমিনাতি বা দাজ্জালের চোখ নিয়ে বেশি একটা চর্চা হতো না । সাম্প্রতিক সময়ে এটা খুব বেশি বেড়ে গেছে । আপনি যেখানে সেখানে এই চোখ সম্বলিত লোগো দেখতে পাবেন । বিভিন্ন হলিউড সুপারস্টাররাও তাদের পোশাক, হাতের মাধ্যমে, এই সাইন দেখিয়ে থাকে । আমেরিকান প্রেসিডেন্টগণও এই সাইন ব্যবহার করে থাকে । আমরা হাতের মাধ্যমে ওকে সাইন দেখিয়ে থাকি, যার শাহাদাত ও বৃদ্ধাঙ্গুলি ব্যবহার করে এই চোখের মত নির্দেশনা দেয়া হয়ে থাকে । তাই এই সাইন দেখানো উচিত না মুসলিমদের । 

দাজ্জাল আসবে এবং তাকে মেনে নেয়ার সাথে এইসব সাইনের কি সম্পর্ক ? আমি কি বলতে চাচ্ছি ? 


আমরা জানি ডিএনএ হল বংশগতির ধারক ও বাহক । আমাদের স্বভাব, আচরণ কিংবা বিশেষ কোন বৈশিষ্ট্যগুলি এসে থাকে আমাদের পূর্বপুরুষদের মাধ্যমে । আপনি যখন অল্প পরিমাণে বিভিন্ন জায়গায় শয়তানের সাইন দেখতে পাচ্ছেন, সেটা আপনার ব্রেইনে চলে যাচ্ছে এবং সেইভ হয়ে থাকবে । আপনার সন্তানের শরীরেও অটোমেটিক এর ভাবধারা চলে যাবে । সে যখন বড় হয়ে যাবে তখন সেও ইলুমিনাতি সাইনগুলি দেখতে পাবে এবং তার কাছে এটা আরও সহজ মনে হবে । কারণ, আপনার মাধ্যমে সে কিছু ডেটা পেয়ে গেছে । আগামী ২০ বছরের ভেতর শয়তানের লীলাখেলা আরও বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়ে যাবে । আমরা যেমন বিভিন্ন জায়গায় এখন ইলুমিনাতি সাইন দেখতে পাই তারা সবখানে এটা দেখতে পাবে । আপনার সন্তানের সন্তান যখন হবে তখন তার কাছ থেকে তার সন্তানের শরীরে আরও প্রকটভাবে এই ধারাটা চলে যাবে । ধরুন, আপনার নাতি বা আপনার ছেলের যে সন্তান হবে তার সময়েই দাজ্জালের আবির্ভাব ঘটে গেলো । তার সামনে যখন দাজ্জাল এসে হাজির হবে তখন দাজ্জালকে গ্রহণ করা তার জন্য অনেক সহজ হয়ে যাবে । কারণ সে তার দাদা ও বাবার মাধ্যমে ইলুমিনাতি ও দাজ্জালের চোখ সম্পর্কে ডিএনএর মাধ্যমে এটা অনেক বেশি গ্রহণ করে ফেলেছে । তাই দাজ্জাল এসে যখন নিজেকে খোদা দাবি করবে তখন আপনার নাতি খুব সহজেই দাজ্জালের সঙ্গে মিশে যাবে । সমীকরণটা খুব সহজ কিন্তু আপনি বা আমরা এটা ধরতে পারছি না । আমরা বুঝতেই পারছি না ইলুমিনাতির এই সাইনটা কেন বিভিন্ন পণ্য, বিলবোর্ড, কম্পানির লোগো, গেমিং প্লাটফর্মে ব্যবহার করা হচ্ছে । 


মনে রাখবেন, ইহুদিরা সংখ্যায় অনেক অল্প । তারা যদি আজকে মুসলিম ও খ্রিস্টানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে তাহলে এক বেলায় দুনিয়া থেকে ইহুদি নিপাত হয়ে যাবে । তাই তারা কিভাবে নিজেদের প্রোমট করে যাচ্ছে তাদের নেতার আগমনের জন্য জানেন ? তারা মার্কেটিং করছে । মার্কেটিং করতে টাকা দরকার । জি, এই পৃথিবীর মোট সম্পদের ৮৫ ভাগ ইহুদিের হাতে । তারা সংখ্যায় অল্প হলেও টাকা আছে তাদের হাতে । এই জিনিসটা সাধারন মানুষের ভেতর ঢুকিয়ে দিতে বুদ্ধি দরকার । জি, তাদের বুদ্ধি রয়েছে । তারা সবচেয়ে বুদ্ধিমান জাতি হিসাবে প্রতিষ্ঠিত । তারা এত বুদ্ধিমান কেন জানেন ? কারণ, তাদের নেতা অর্থাৎ নবী ঈসা আঃ এর সময়ে আসমান থেকে খাবার নেমে আসতো বনী ইসরাইলের জন্য । তাদের কাছে একদিন বা দুইদিন নয়, একাধারে ৪০ বছর খাবার এসেছে । এই সম্পর্কে একটা লেখা রয়েছে সেটা আলোচনা করলে বিশাল লেখা হয়ে যাবে । আপনারা পড়ে নিবেন । 

https://www.kalerkantho.com/print-edition/islamic-life/2018/01/12/588393


একবার চিন্তা করুন, দুনিয়ার সাধারণ খাবার খেয়ে যদি আমাদের এত বুদ্ধি হয়, তাহলে ৪০ বছর ধরে টানা জান্নাতি খাবার খেয়ে তাদের বুদ্ধি ও মস্তিস্ক কত ক্ষুরধার হতে পারে ? তাদের এইসব জিনগত বিষয়াদি বংশ পরম্পরায় চলে এসেছে আজকের দিনের ইহুদিদের মাঝে । তাই সারা দুনিয়ায় মাত্র কোটি খানেক ইহুদিই পৃথিবী কাপিয়ে দিচ্ছে । সবচেয়ে বেশি সংখ্যক নোবেল পুরষ্কারও তাদের দখলে । 


আশা করি, বুঝতে পারছেন যে, কত সহজেই দাজ্জালের সাথে মিশে যাওয়া সহজ হয়ে যাবে যারা দাজ্জালের সময় বেঁচে থাকবে । আল্লাহ আমাদের দাজ্জালের ফিতনা থেকে রক্ষা করুন । আমিন । 


আপনারা টম ক্রজ কে চেনেন তাইনা ? সে মিশন ইম্পসিবল এর মত অবিশ্বাস্য একটা সিরিজ করে যাচ্ছে এই বয়সেও । একজন হিরো হয়ে কি যা ইচ্ছা তাই করা যায় ? অবশ্যই না । মুভি ইতিহাসে অন্যতম সেরা স্ত্যান্টম্যানের ভূমিকা নিতে পারতো ব্রুস লি । জি, তার মুভি যারা দেখেছেন তারা জানেন সে কেমন একশান করতো । কিন্তু টম যা করে সেটা কোন স্বাভাবিক মানুষের পক্ষে সম্ভব না । সত্যি সম্ভব না । তাহলে কিভাবে করে সে ? কারণ সে ১৯৯০ সালে শয়তানের পুজা করা শুরু করে । এটাকে বলে সাইন্টোলজি । যে কারণে তার প্রথম স্ত্রী মিমি রজারস টমকে তালাক দেয় । 

মনে রাখবেন, একজন সাধারণ মানুষ চাইলেই বডি বিল্ডিং করে ফেলতে পারে মুভির জন্য । কিন্তু সে চাইলেই মুভির জন্য ফাইটার প্লেন চালাতে পারে না । গ্রাভিটি টেস্ট এর ব্যাপার রয়েছে । যা কেউ চাইলেই তাকে দেয়া হয় না । শুধুমাত্র পাইলট প্রশিক্ষণে অনেক ফিট ছেলেরা বাদ হয়ে যায় । শরীরের ধকল নেয়া মুখের কথা নয়, এরপর বুরজ খলিফার একদম চুড়ায় কোন কিছু না ধরে বসে থাকা যায় না বা কোন সাধারণ মানুষ পারে না । এবং তার একশানগুলি দেখেছেন নিশ্চয়ই ? এমএই সিরিজের একটা দৃশ্যে আরবের ধুলার ঝরে সে শুটিং করেছিল । আরবের ধুলার ঝড়টা কোন ভিএফএক্স ছিল না । আসল ঝড়েই দৃশ্য নেয়া হয় । 

 আপনি যখন শয়তানের পুজা করবেন তখন শয়তান আপনার সব নিয়ে যাবে এবং কিছু আধ্যাত্মিক ক্ষমতা প্রদান করবে যা সাধারন কোন মানুষের ভেতর দেখতে পাওয়া যায় না । টম দুনিয়ার বিনিময়ে তার সবকিছু বিক্রি করে দিয়েছে । 

এবার চলুন আরেকটা ব্যাখ্যায় - 

illuminate এর অর্থ  আলোকিত করা । আপনারা ফ্রি ফায়ার গেইম দেখেছেন ও খেলেছেন কিন্তু  আমার খেলা হয়নি । আমি ক্রিকেট বা ফুটবল ছাড়া অন্য কোন গেইম খেলতে পছন্দ করি না । গুগল প্লে স্টোর এই ফ্রি ফায়ার বের করলে দেখতে পাবেন সেখানে লেখা রয়েছে  " Garena Free Fire - Illuminate "


আপনার কি মনে হয় আলোকিত বুঝাতে তারা আর কোন শব্দ খুঁজে পায়নি ?  Fire, Enlighten, Flame,
Kindle, Flash, Brighten, Irradiate, Expose, Excite, শব্দ ব্যবহার করতে পারেনি ? আপনি বলতে পারেন, একই শব্দের অর্থ বুঝালেও বিভিন্ন জায়গায় একেক অথে ব্যবহার করা হয় । জি, এটা আমিও জানি । তবে এখানে ইলুমিনেট ব্যতীত অন্য শব্দ ব্যবহার করা যেতোই না সেটা আমাকে গিলাতে আসবেন না । দাজ্জাল কানা বা এক চোখা । যেহেতু সে কানা দাজ্জাল নামে সবার কাছে পরিচিত । তাই দাজ্জালের অনুসারীরা তাকে আলোকিত একজন ব্যক্তিত্ব হিসাবেই প্রদর্শন করার চেষ্টায় ব্যস্ত রয়েছে । দাজ্জালের অধীনেই তারা অন্ধকার থেকে আলোতে এসে দুনিয়া পরিচালনা করবে ।  তাই তারা এমন শব্দ তৈরি করে নিয়েছে যার সাথে ইলুমিনাতি ও আলোকিত খুব সহজেই মিলে যায় ।  যিনি এর অর্থ বুঝেন তিনি ইলুমিনেট পড়বেন । যিনি বুঝেন না বা কখনো দেখে নাই  সে ইলুমিনাতি পড়বে । যারা এটা বানিয়েছে তারা কি উদ্দেশ্যে, কাদের জন্য বুঝতে বা পড়তে এটা বানিয়েছে আশা করি আর ব্যাখ্যা করতে হবে না । তারা সম্ভাব্য সবরকম ভাবেই তাদের গুপ্ত সংগঠন এর প্রচার করে যাচ্ছে । এটাই মূল কথা । 

যেখানেই দাজ্জালের প্রোমট হবে সেগুলি বাদ দেয়া উচিত আমাদের । নিচে কিছু ছবি দেয়া হল, ইলুমিনাতি এবং এর সাইন সম্পর্কে আরও ধারণা পেয়ে যাবেন । তাছাড়াও গুগলে সার্চ করলে প্রচুর রিসোর্স রয়েছে । বর্তমানে এটা কোন সিক্রেট কিছু নয় । এটা সবার সামনেই চলছে ও বেশিরভাগ মানুষ অবচেতনমনেই এর সাথে জড়িয়ে যাচ্ছে । তাই এটা থেকে দূরে থাকার জন্য এটা সম্পর্কে জানা লাগবে ও সঠিক ধারণা দরকার রয়েছে । 






এখানে সামান্য কিছু ছবি দিলাম । এবার নিজেকে প্রশ্ন করুন এমন চিহ্ন আপনি কতবার প্রদর্শন করে থাকেন প্রতিদিন । এমন কেউ নেই যে, একবার হলেও এই সাইনগুলি দেয়নি । ধন্যবাদ । 


Saturday, December 25, 2021

২০২২ সালের পর ইসরাইল থাকবে না ?

 



আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং ঘটনাপ্রবাহ দেখে অনেকেই মনে করি যে, মধ্যপ্রাচ্যের বিষফোড়া খ্যাত ইস্রেল একদম গ্রেটার ইস্রেল হয়ে যাবে এবং পার্শ্ববর্তী দেশগুলি দখল করে নিজেদের সাইজ আরও বৃহৎ করবে তারপর দুনিয়া শাসন করবে । কিন্তু আপনার এটা মনে রাখা উচিত যে, আল্লাহ যাকে ধ্বংস করে দেয় সে নিজেকে ছাড়িয়ে যেতে পারে না । কুরআনের আয়াত দ্বারা জানা যাক-

"এটি কখনো সম্ভব নয়, 'যে জাতিকে আমি একবার ধ্বংস করে দিয়েছি, তারা আবার (ধ্বংস পূর্ব অবস্থায় ফিরে) আসবে"
(সূরা আম্বিয়া, আয়াত নং - ৯৫)
এই আয়াত থেকে প্রমাণিত হয়, ইস্রেল কখনো তাদের কল্পিত রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে পারবে না। ভবিষ্যতে ইস্রেল কোন ভাবেই সুপার পাওয়ার হবে না, এটা একেবারেই নিশ্চিত করে বলা যায়।
আমরা ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ নিয়ে মন্তব্য করা সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিসিঞ্জারকে চিনি । আম্রিকায় তাকে বেশ ধার্মিক হিসাবেই চিনে থাকে তাদের লোকেরা । সে বাইবেল সম্পর্কে বেশ ধারণা রাখে । যেখানে ইস্রেলের ধ্বংস হয়ে যাওয়া নিয়ে কিছু ভবিষ্যৎবানী রয়েছে যা সে ১৯৭২ সালে একবার বলেছিলো । যা সিআইএ নথি থেকে উদ্ধার হয় ২০১২ সালে এবং তৎকালীন সময়ে ইস্রেলের অনেক পত্রিকা ফলাও করে এটা নিউজ করে এবং তামাশাও করে তাকে নিয়ে । তবে ২০২২ সালের পর ইস্রেল থাকবে না এটা নিয়ে অনেক স্কলাররা মন্তব্য করেছেন যারা কুরআনের গাণিতিক ব্যাখ্যা করে গবেষণা করেন । তাদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হচ্ছেন 'বাসাম জারার' যিনি ইউটিউবে প্রাপ্ত একটা ভিডিওতে একদম ক্যালকুলেট করে ব্যাখ্যা করে দেখিয়েছেন ২০২২ এর ওরা থাকবে না । শুধু তিনি নয়, আরও অনেকেই এটা বলেছেন ।
আপনারা গুগল সার্চ করলে এই সম্পর্কে আরও ধারণা নিতে পারবেন । https://www.youtube.com/watch?v=fzT5vxdLsAA
এবার কথা হচ্ছে, ইস্রেল কিভাবে হারিয়ে যাবে ? সেজন্য অবশ্যই ইস্যু দরকার । জি, ইস্যু তৈরি হচ্ছে । তারাই এটা তৈরি করে ফেলেছে । ইরানকে পরমানু ইস্যুতে ঠেকানোর জন্য ২০২২ সালের এপ্রিল পর্যন্ত আম্রিকার চাপে চুপ থাকার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে ইস্রেল । এরপর একদিনও তারা চুপ করে না থাকার আগাম ঘোষণা দিয়ে রেখেছে । গত কয়েকদিনের পত্রিকা পড়লেই এটা জানতে পারবেন অন্যদিকে এটাও স্বাভাবিক যে, ইরান তাদের কার্যক্রম বন্ধ করবে না এবং ইস্রেল ওদের সবগুলি পরমানু স্থাপনায় একযোগে হামলা করতে পারে । তবে এর বিপরীতে যা হবে সেটা হচ্ছে ইরানের কয়েক হাজার ব্যালি/স্টিক মিসাইল ওদের উপর আছড়ে পরবে যা ঠেকানোর ক্ষমতা ইস্রেলের নেই । কারণ কোনভাবেই যদি ইরান আক্রান্ত হয় তাহলে হিজবুল্লাহ সরাসরি মিসাইল হামলা করবে । এছাড়াও আরও অনেক গোষ্ঠী রয়েছে যারা ইরানের সাহায্যে চলছে । এরা সবাই ইরানের সাথে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ।
আপনারা ২০২০ সালে আম্রিকার আক্রমণে কুদস কমান্ডার কাসেম সলায়মানি শহীদ হওয়ার ঘটনা জানেন । এটাও জানেন, ইরান ইরাকের আম্রিকান ঘাটতে কয়েকশত মিসাইল ছুঁড়েছিল পাল্টা জবাব হিসাবে । যা বুঝিয়ে দেয় যে, ইরান ছেড়ে কথা বলবে না যদি তাদের অস্তিত্ব ধরে কেউ টান দেয়ার দুঃসাহস করে ।
বিশ্ব রাজনীতি যেদিকে এগিয়ে যাচ্ছে তাতে ২০২২ সালে অনেককিছু ঘটবে যা ইতিমধ্যে কয়েক বছর ধরে ভবিষ্যৎবানী থেকে আন্দাজ করা যায় । তবে শেষ পর্যন্ত আল্লাহ ভালো জানেন কি হবে !

দাজ্জালকে কি কারণে মানুষ খোদা বলে গ্রহণ করে নিবে ? ইলুমিনাতি ও দাজ্জালের চোখ

 শেষ জামানায় দাজ্জাল এলে অল্প কিছু মানুষ ছাড়া বেশিরভাগ মানুষ তার ফিতনায় পড়ে ঈমান হারিয়ে ফেলবে ।  এমনটা মসজিদ ও আলেমদের থেকে শুনেছি ।     দাজ...